মহুয়া কমিউটার ট্রেনের সময়সূচী | Mohua Commuter Train Schedule

আপনি কি ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ রুটে স্বল্প খরচে নিয়মিত যাতায়াত করেন? তাহলে মহুয়া কমিউটার ট্রেন হতে পারে আপনার সবচেয়ে উপযোগী যানবাহন। বাংলাদেশ রেলওয়ের অন্যতম জনপ্রিয় এবং সময়নিষ্ঠ ট্রেন হিসেবে মহুয়া কমিউটার দীর্ঘদিন ধরেই যাত্রীদের আস্থা অর্জন করে চলেছে।

মহুয়া কমিউটার ট্রেনের সময়সূচী সম্পর্কে জানা থাকলে আপনি সহজেই আপনার ভ্রমণ পরিকল্পনা করতে পারবেন। বিশেষ করে অফিসগামী, ছাত্রছাত্রী ও কম খরচে ঘুরে বেড়াতে চাওয়া সাধারণ যাত্রীরা এই ট্রেনের সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী।

মহুয়া কমিউটার ট্রেনের সময়সূচী ২০২৫

নতুন সময়সূচী অনুসারে ৪৩ নম্বর আপ মহুয়া কমিউটার ট্রেন সকাল ০৮টা ৩০ মিনিটে ঢাকা কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে যায়। তারপর নির্দিষ্ট স্টেশনে যাত্রা বিরতি শেষে ময়মনসিংহে পৌঁছায় দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে এবং সর্বশেষ মোহনগঞ্জ পৌঁছায় ২ টা ৫০ মিনিটে।

  • অপরদিকে, মোহনগঞ্জ স্টেশন ছেড়ে যায় বিকাল ৩টা ২০ মিনিটে। তারপর ময়মনসিংহ জংশন স্টেশনে ৫ঃ৩৫ মিনিটে যাত্রা বিরতি শেষে পুনরায় ঢাকা পৌঁছায় রাত ০৯ টা ১০ মিনিটে।
স্টেশনের নামনতুন সময়সূচি
কমলাপুর জংশনসকাল ০৮টা ৩০ মিনিট
তেজগাঁওসকাল ০৮টা ৪৫ মিনিট
বিমানবন্দরসকাল ০৯টা ০২ মিনিট
টঙ্গী জংশনসকাল ০৯ টা ১২ মিনিট
জয়দেবপুরসকাল ০৯ টা ৩৯ মিনিট
ভাওয়াল গাজীপুরসকাল ০৯ টা ৪৮ মিনিট
রাজেন্দ্রপুরসকাল ১০টা ০০ মিনিট
শ্রীপুরসকাল ১০টা ১৬ মিনিট
কাওরাইদসকাল ১০টা ৩৮ মিনিট
মশাখালিসকাল ১০ টা ৫২ মিনিট
গফরগাঁওসকাল ১১ টা ২৪ মিনিট
আউলিয়া নগরসকাল ১১ টা ৪৪ মিনিট
আহমেদাবাদসকাল ১১ টা ৫৫ মিনিট
ফাতেমা নগরদুপুর ১২ টা ০৫ মিনিট
ময়মনসিংহ জংশনদুপুর ১২ টা ৪৫ মিনিট
ময়মনসিংহ গৌরীপুরদুপুর ০১ টা ২২ মিনিট
শ্যামগঞ্জ জংশনদুপুর ০১ টা ৩৬ মিনিট
নেত্রকোনাদুপুর ০২ টা ০০ মিনিট
নেত্রকোনা কোর্টদুপুর ০২ টা ০৫ মিনিট
ঠাকুর-কানাদুপুর ০২ টা ২৫ মিনিট
বারহাট্টাদুপুর ০২ টা ৪০ মিনিট
মোহনগঞ্জবিকাল ০৩ টা ০০ মিনিট

বিঃদ্রঃ বাংলাদেশ রেলওয়ের যে কোন ট্রেনের সময়সূচী পরিবর্তিত হতে পারে। কেননা ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় ঘটলে উত্তর ট্রেন ১০ থেকে ১৫ মিনিট কিংবা ৩০ মিনিট পর্যন্ত যাত্রা বিলম্ব হতে পারে।

মহুয়া কমিউটার ট্রেনটি নিয়মিত ঢাকা থেকে নেত্রকোনা জেলায় চলাচল করে আসছে। যাত্রাপথে এটি ময়মনসিংহ এবং গাজীপুর জেলাকে সংযুক্ত করেছে। এই ট্রেনটি যাত্রা পথে প্রায় ৩৬ টি স্টেশনে যত বিরতি করে। মোহনগঞ্জ থেকে ঢাকার আরেকটি জনপ্রিয় ট্রেন হচ্ছে আন্তঃনগর মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস

মোহনগঞ্জ থেকে ঢাকা সময়সূচী

৪৪ নম্বর ডাউন মহুয়া কমিউটার মোহনগঞ্জ স্টেশন থেকে বিকাল তিনটা বিশ মিনিটে এই ট্রেনটি যাত্রা শুরু করে। পর্যায়ক্রমে নির্দিষ্ট স্টেশনে যাত্রা বিরতি শেষে ঢাকা কমলপুর পৌঁছায় রাত 9 টা 10 মিনিটে।

স্টেশনের নামসময়সূচি ২০২৫
মোহনগঞ্জবিকাল ০৩টা ২০ মিনিট
বারহাট্টাবিকাল ০৩টা ৩৭ মিনিট
ঠাকুরকণাবিকাল ০৩টা ৪৮ মিনিট
নেত্রকোনা কোর্টবিকাল ০৪ টা ০৫ মিনিট
নেত্রকোনাবিকাল ০৪টা ১০ মিনিট
শ্যামগঞ্জ জংশনবিকাল ০৪টা ৩০ মিনিট
গৌরীপুর জংশনবিকাল ০৪টা ৪৫ মিনিট
ময়মনসিংহ জংশনবিকাল ০৫টা ৩৫ মিনিট
ফাতেমা নগরবিকাল ০৫টা ৫৬ মিনিট
আহমেদ বাড়িসন্ধ্যা ০৬টা ০৩ মিনিট
আউলিয়া নগরসন্ধ্যা ০৬টা ১৫ মিনিট
গফরগাঁওসন্ধ্যা ০৬টা ৩৫মিনিট
মশাখালীসন্ধ্যা ০৬টা ৪৮ মিনিট
কাওরাইতসন্ধ্যা ০৭টা ০৫ মিনিট
শ্রীপুরসন্ধ্যা ০৭টা ২১ মিনিট
জয়দেবপুররাত ০৮টা ০৫ মিনিট
টঙ্গী জংশনরাত ০৮টা ৩০ মিনিট
ঢাকা বিমানবন্দররাত ০৮টা ৪০ মিনিট
তেজগাওরাত ০৮টা ৫৭ মিনিট
ঢাকা কমলাপুররাত ০৯টা ১০ মিনিট
মহুয়া কমিউটার ট্রেনের সময়সুচি ২০২৫

মহুয়া কমিউটার ট্রেনের ভাড়া

যেহেতু লোকাল ট্রেনের টিকিট সমূহ অনলাইনে পাওয়া যায় না, তাই এই সকল ট্রেনের ভাড়ার তালিকা প্রকাশ করা খুব কঠিন। এমনকি আগে স্টেশনে দুই থেকে তিনটি টিকিট কাটলে একটি সিট পাওয়া যেত।

এখানে সর্বশেষ তথ্য অনুসারে টিকিটের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এই মূল্য তালিকা যে কোন সময় পরিবর্তিত হতে পারে। নতুন মূল্য তালিকা অনুসারেঃ

  • কম্পিউটার শোভনঃ ৬০ টাকা।
  • সাধারণ শোভনঃ ১২০ টাকা।
  • ফাস্ট ক্লাস সিটঃ ১৮৫ টাকা।
  • ফাস্ট ক্লাস চেয়ারঃ ১৮৫ টাকা।
  • স্নিগ্ধাঃ ২৩৫ টাকা।
  • এবং এ সি চেয়ারঃ ২৫০ টাকা।

মহুয়া কমিউটার ট্রেনের যাত্রীদের অভিজ্ঞতা বেশ ইতিবাচক। অনেক অফিসগামী ও শিক্ষার্থী বলেন, সময়মতো পৌঁছানোর জন্য মহুয়া ট্রেনের উপর নির্ভর করা যায়। ট্রেনটি প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়েই ছাড়ে এবং বড় কোনো বিলম্ব ছাড়া গন্তব্যে পৌঁছে দেয়। এমনকি ভিড়ের মধ্যেও এর যাত্রা অনেকটা স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ, কারণ এটি লোকাল ট্রেন হলেও সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হয়।

মহুয়া কমিউটার ট্রেনের ইতিহাস

বাংলাদেশ রেলওয়ের উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে মহুয়া কমিউটার ট্রেন চালু হয় ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে। এই রুটটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসেবে বিবেচিত হয়। সময়ের সাথে সাথে ট্রেনটি সাধারণ যাত্রীদের কাছে একটি নির্ভরযোগ্য বাহন হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।

মহুয়া নামটি এসেছে বাংলাদেশের অন্যতম পরিচিত ফুল “মহুয়া” থেকে, যা এই অঞ্চলের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক। যদি আপনি বিকল্প ট্রেন খুঁজে থাকেন, তাহলে তিস্তা এক্সপ্রেস, ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস, কিংবা হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনগুলোও ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটে সেবা প্রদান করে।

তবে তুলনামূলকভাবে মহুয়া কমিউটার ট্রেনের টিকিট সহজলভ্য এবং এর যাত্রার সময়সীমাও অফিস ও কাজের উপযোগী।

Similar Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

One Comment